What Covid Took from Our Students (আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর কোভিডের ছায়া)
- Posted by tca
- Categories Message Board
- Date December 10, 2023
The COVID-19 pandemic has significantly impacted education systems worldwide, resulting in school closures and disrupting the education of millions of children. Bangladesh was no exception, with one of the most extended school closures starting from January 2022, spanning 18 months. Many private schools were closed due to financial issues. They could not raise tuition fees and had to keep the staff on payroll. TCA also bore the brunt of the pandemic, but we kept the staff and maintained their payroll as best as possible.
Now that COVID is over, we are planning a long-term project of financing, hiring dynamic teachers, and maintaining the buildings and the sports grounds. Most importantly, we are vigorously trying to improve the quality of education hand in hand with providing scholarships to needy, meritorious students.
A mind is a terrible thing to waste, it has been said. But that’s exactly what happened to millions of young minds during the pandemic, The Economist writes, after the OECD—the Paris-based club of 38 mostly advanced world economies—released its latest data on education.
The Economist summarizes the results: “An average teenager in the rich world is found to have fallen about six months behind in reading and nine months behind in maths, compared with peers who sat similar tests in 2018. In several rich countries, 15-year-olds perform at levels that would have been expected of learners a full year younger back then.”
In Bangladesh, affluent children in Dhaka had the opportunity to learn through the digital education process, where distance learning was adaptable moderately quickly. In TCA, we tried digital education in a limited way but the logistics did not succeed. There was no broadband system, and the students had no computer access. Whoever had access to a hand phone the parents took it away from them as they thought the child was misusing the phone.
We hear of “digital Bangladesh,” but did we achieve it? Did it reach every corner of Bangladesh? There is a big division here for the haves and have-nots.
In conclusion, our teachers in TCA have to struggle with re-educating the students, which has been very painstakingly slow. We must deal with a “catch-up” program to bring the students up to a sustainable level.
The parents must understand the difficulties and cooperate with our teaching staff and the school administration. The guardians must pay the tuition fees on time to ease the burden on the teachers and the school administration. We all must work together to bring TCA back to its original form, make it the best school in the area, and set a milestone in rural Bangladesh.
Ghulam M. Suhrawardi, TCA Founder and Chairman
কোভিড-১৯ মহামারি বিশ^ব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। এর ফলে অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে লাখ লাখ শিশুর পড়ালেখা মারাতœক ভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ১৮ মাস ধরে স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। এত দীর্ঘ সময় টানা স্কুল বন্ধ থাকার ঘটনা এর আগে খুব কমই ঘটেছে। অনেক বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যায় আর্থিক সমস্যার কারণে। এ-সময় তারা টিউশন ফি আদায় করতে পারেননি, অথচ কর্মীদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে হয়েছে। টিসিএ-ও এই মহামারির ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু, আমরা কর্মীদের পাশে ছিলাম এবং যতটা সম্ভব তাদের বেতন-ভাতা চালু রেখেছি।
কোভিড শেষ। এখন আমরা অর্থায়ন, যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ, ভবন এবং খেলার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বলা হয়ে থাকে, মননের অপচয় একটা ভয়াবহ ব্যাপার। বিশ্ব-অর্থনীতির ৩৮টি অগ্রসর দেশের প্যারিস-ভিত্তিক ক্লাব ‘ওইসিডি’ শিক্ষার ওপর তাদের সর্বসা¤প্রতিক যে-তথ্য প্রকাশ করেছে, এর ভিত্তিতে দ্য ইকোনমিস্ট লিখেছে, মহামারির সময় লাখ লাখ তরুণ-মানসের ঠিক এই সর্বনাশটাই হয়েছে।
ফলাফলের সংক্ষিপ্তসারে ‘দ্য ইকনোমিস্ট’ বলেছে, ‘উন্নত-বিশে^ ২০১৮ সালে একই ধরনের পরীক্ষায় বসা সমবয়সীর তুলনায় একজন কিশোর অধ্যয়নে প্রায় ছয় মাস এবং গণিতে প্রায় নয় মাস পিছিয়েছে। কয়েকটি উন্নত দেশে ১৫ বছর বয়সীরা যে-পর্যায়ে পারফর্ম করেছে, তা পুরো এক বছর কম বয়সী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল।’
ওই সময় ঢাকার ধনী পরিবারের সন্তানরা ডিজিটাল শিক্ষা-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছিল। যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে মোটামুটি দ্রæততার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। টিসিএ-তেও আমরা সীমিতভাবে ডিজিটাল শিক্ষার চেষ্টা করেছি, তবে এ জন্য ইন্টারন্টেসহ প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা ছিলো । কোনো ব্রডব্যান্ড সিস্টেম ছিল না এবং শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার পাওয়ার সুযোগ ছিল না। যাদের হ্যান্ডফোন ব্যবহারের সুযোগ ছিল, অভিভাবকরা তাদের কাছ থেকে ফোন দূরে রেখেছেন। তাদের ধারণা ছিল, শিশুরা ফোনের অপব্যবহার করছে।
আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর কথা শুনি। কিন্তু, আমরা কতটা তা অর্জন করতে পেরেছি তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এখনও বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায় ডিজিটাল সুবিধা কী পৌঁছেছে? প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তির এই ব্যবধান এখানে অনেক বড়।
উপসংহারে বলতে চাই, কষ্টকরভাবে শ্লথ হয়ে পড়া গতি ত্বরান্বিত করে শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা দেওয়ার কাজে এখন আমাদের শিক্ষকদের সংগ্রাম করতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই একটি ‘ক্যাচ-আপ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টেকসই স্তরে নিয়ে যেতে হবে।
অভিভাবকদের অবশ্যই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আমাদের শিক্ষক এবং স্কুল-প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। শিক্ষক এবং স্কুল প্রশাসনের বোঝা কমাতে অভিভাবকদের অবশ্যই সময়মতো টিউশন ফি প্রদান করতে হবে। টিসিএ-কে তার আসল রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হবে এলাকার সেরা স্কুলে পরিণত করা। যাতে টিসিএকে গ্রামীণ বাংলাদেশের শিক্ষার একটি মাইলফলক হিসাবে তৈরি করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
গোলাম এম সোহরাওয়ার্দি, প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান
You may also like
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা
গত ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে দি কার্টার একাডেমিতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অসংখ্য প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য উৎসাহিত হয়েছিল! আমরা সকল পরীক্ষার্থীকে জানাই অভিনন্দন! তোমাদের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।