স্মার্টফোন–আসক্তি কমাচ্ছে সৃজনশীলতা
- Posted by tca
- Categories Message Board
- Date March 6, 2024
মোবাইল ফোন আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের যা করতে হবে
র্টফোন আধুনিক জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। এটি প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজ করেছে সহজতর। তবে অনেকেই স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরাও হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনে আসক্ত। অপচয় হচ্ছে মূল্যবান সময় ও শক্তি। স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় জানাচ্ছেন বিপুল জামান
ফোন ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করা : স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে ফোন ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করো। নির্দিষ্ট সেই সময়েই ফোনটি তোমার প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করো। সেটা হতে পারে কল করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ। এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করো। এই টিপসটি শিক্ষার্থীদের জন্যে অনেক বেশি কার্যকরী।
মোবাইল থেকে দূরে থাকা : পড়া, খাওয়া, ঘুম, বিশ্রাম এবং বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোবাইল ব্যবহার থেকে দূরে থাকো।
নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা : মোবাইলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম বা অন্যান্য অ্যাপ থেকে অবিরাম নোটিফিকেশন আসে এবং তা চেক করতে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে বিঘœ হয় মনোযোগ, নষ্ট হয় সময়। মিনিটে মিনিটে আসা এসব নোটিফিকেশন স্মার্টফোনের প্রতি আরও আসক্ত করে তোলে। তাই স্মার্টফোনের ব্যবহার কমাতে হলে অবশ্যই ফোনের নোটিফিকেশন অফ করে রাখতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করা : অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য স্মার্টফোন দরকার হয়। এর পাশাপাশি স্মার্টফোনে এমন অ্যাপ আছে যেগুলো গঠনমূলক কাজে কোনোরূপ সাহায্য করে না, উপরন্তু সময়ের অপচয় ঘটায়। এসব অ্যাপ চিহ্নিত করে ফোন থেকে আনইন্সটল বা ডিলিট করে দিতে হবে।
স্ক্রিন লকে দীর্ঘ এবং বিরক্তিকর পাসওয়ার্ড : তুমি যদি ফোনের পাসওয়ার্ড খুব দীর্ঘ বা কঠিন দিয়ে রাখো তাহলে এটি বারবার ফোনে প্রবেশ করতে অনাগ্রহী করে তুলবে। এর ফলে মোবাইল আসক্তি কিছুটা হলেও কমবে।
সময় দেখতে স্মার্টফোন নয় : অধিকাংশ মানুষ এখন মোবাইল ব্যবহার করে সময় জানতে। সময় জানতে মোবাইল বের করলেও পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন চেক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে সময়ের অপচয় হয়। এ থেকে বাঁচতে সময় দেখতে মোবাইল নয়, ঘড়ি ব্যবহার করো।
কাজে বসার আগে ফোনটি নাগালের বাইরে রাখা : যেকোনো কাজ শুরু করার আগে মোবাইল ফোনটি হাতের নাগালের বাইরে রাখো। হাতের কাছে মোবাইল থাকলে তা মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটাবে, সময়ের অপচয় হবে।
ঘুমানোর প্রস্তুতির আগে সুইচ অফ করা : ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে থেকে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। তাই ঘুমানোর প্রস্তুতি শুরু হতে পারে স্মার্টফোন সুইচ অফের মাধ্যমে। এতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া যেমন সহজ হবে তেমনি ঘুম হবে নিরবচ্ছিন্ন। আত্মপর্যালোচনা : এতগুলো পদক্ষেপ নেওয়ার পরও যদি ঘন ঘন ফোন চেক বা ব্যবহার করার ইচ্ছে হয়, তবে চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস নিয়ে মনে করো এই মোবাইল আসক্তির কারণে তুমি কী কী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছ। সেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি না চাইলে নিজের মনকে শক্ত করো এবং ওপরের উপায়গুলো নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করো। আশা করা যায় আস্তে আস্তে তুমি মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাবে।
You may also like
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা
গত ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে দি কার্টার একাডেমিতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অসংখ্য প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য উৎসাহিত হয়েছিল! আমরা সকল পরীক্ষার্থীকে জানাই অভিনন্দন! তোমাদের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।